আহলে বাইত (আ.) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা (আবনা):ইমাম সাদিক (আ.)-এর আরবাইন তীর্থযাত্রার বক্তব্য নিজেই এর গুরুত্বের প্রমাণ, কারণ জাবির ইবনে আব্দুল্লাহর মতো একজন মহান সাহাবীর তীর্থযাত্রা মূল্যবান হলেও, কেবল শিয়াদের মহান আচার-অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি হতে পারে না এবং নিষ্পাপ ইমাম এর জন্য কোনও বিশেষ তীর্থযাত্রা লিখতেন না।
আরবাইন তীর্থযাত্রার গুরুত্ব কেবল এই দিনে জাবির ইবনে আবদুল্লাহ আনসারীর তীর্থযাত্রার কারণে নয়, বরং আরবাইনের দিনে কারবালায় প্রবেশকারীদের "অভ্রান্ত কাজ" এবং "অভ্রান্ত কথা" এর কারণে। আরবাইনের দিনে ইমাম সাজ্জাদ (আ.) এবং হযরত জয়নব (আ.)-এর কারবালায় আগমন, যা এই দুই মহাপুরুষের উপস্থিতি এবং তীর্থযাত্রার কারণে আরবাইনকে একটি বিশেষ তাৎপর্য ও গুরুত্ব দিয়েছে।
মহান আলেমরা দীর্ঘদিন ধরে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর তীর্থযাত্রা নিয়ে উদ্বিগ্ন। মরহুম কাজী তাবাতাবাই তাঁর মূল্যবান গ্রন্থ "আরবাঈন"-এ এই বিষয়টি উল্লেখ করেছেন এবং এই বিষয়ে অসংখ্য ঐতিহাসিক ও বর্ণনামূলক তথ্য উদ্ধৃত করেছেন, যা প্রমাণ করে যে, আরবাইনের দিনে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর সাথে পায়ে হেঁটে সাক্ষাৎ করা মহান আলেমদের ঐতিহ্য ছিল। এটি আরবাইন তীর্থযাত্রার বৈধতা এবং প্রাচীনত্বকে আরও নিশ্চিত করে।
আরবাইনএর তীর্থযাত্রা এখন আর কেবল একটি ঐতিহাসিক ঐতিহ্য নয়; এই বিশাল আন্দোলন তার ঐতিহাসিক স্থবিরতা অতিক্রম করে একটি বিশ্বব্যাপী ঘটনা হয়ে উঠেছে। এই বিশাল সমাবেশের ব্যাপক প্রভাব এবং আশীর্বাদ আজ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও স্পষ্ট।
এই অনুষ্ঠানটি এখন শিয়া বিশ্বের পরিচয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। আরবাইন হুসাইনি এখন আর কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং ইমাম হুসাইন (আ.)-এর প্রতি শিয়া ও বিশ্বের মুক্ত মানুষের সংহতি, প্রতিরোধ এবং ভক্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে।
Your Comment